ই-কমার্স ব্যবসার ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব)।
সংগঠনটি বলছে, ভ্যাট বাড়ানোয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে দেবে। ফলে ভোক্তাপর্যায়ে পণ্যের দাম বাড়বে। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমইএস) ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷
বুধবার (১৮ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা জানান।
বক্তারা বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ নারীদের জন্য ব্যবসায়িক পরিবেশকে শক্তিশালী করবে। এটি বাংলাদেশে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোক্তা বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলবে। তবে ই-কমার্স ব্যবসার ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়লে প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য পরিচালনা ব্যয় বেড়ে যাবে। ফলে ভোক্তাপর্যায়ে দাম বৃদ্ধি পাবে। এ খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তারা আরও বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) বাজেট প্রস্তাবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডে বিনিয়োগকে ট্যাক্স রিবেট ও ক্রেডিট সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে, যা স্টক মার্কেটের বিনিয়োগের অনুরূপ।
বক্তারা আরও বলেন, একটি সমৃদ্ধ, উদ্ভাবনভিত্তিক অর্থনীতি তৈরিতে সহায়তা করার জন্য ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ষষ্ঠ তফসিলের ৪৪ ধারার অধীনে অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (এআইএফ) বিনিয়োগকে যোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
ভিসিপিয়াব সভাপতি শওকত হোসেন বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের বরাদ্দকে সাধুবাদ জানাই। এছাড়া ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের বিনিয়োগকে ট্যাক্স রিবেটের জন্য অনুমোদিত বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনার দাবিও জানাচ্ছি আমরা।