চলতি লেনদেনের আওতায় পণ্য আমদানি বা সেবার খরচ মেটাতে এখন থেকে ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ এক লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাঠাতে পারবেন।
সার্কুলারে বলা হয়, বিদ্যমান শিল্পনীতির আওতায় থাকা যে কোনো খাতের কোম্পানি তাদের বার্ষিক বিক্রির এক শতাংশ অথবা এক লাখ ডলার—যেটি বেশি পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারবে, যদি সেটি চলতি লেনদেনের আওতায় পড়ে।
এর আগে এ সুবিধা কেবল উৎপাদনশীল ও শিল্পনীতিভুক্ত নির্দিষ্ট সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হতো। তবে নতুন নির্দেশনার ফলে ট্রেডিংসহ অন্যান্য খাতের ব্যবসায়ীরাও এখন প্রয়োজন অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারবেন, যা ব্যবসায়িক লেনদেনকে আরও সহজ ও গতিশীল করবে। তবে, ব্যাংক, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, শেয়ারবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলো এ সুবিধার আওতায় পড়বে না।
এছাড়া রয়্যালটি, কারিগরি সহায়তা, টেকনিক্যাল নলেজ ফি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি-সংক্রান্ত অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রেও এ সুবিধা প্রযোজ্য নয়। এসব লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন প্রয়োজন হবে এবং তা আগের নিয়ম অনুযায়ী চলবে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ বনীতিগত পরিবর্তন ব্যসা পরিচালনায় বৈদেশিক লেনদেন সহজ করবে এবং সেবা ও অন্যান্য খাতের সম্প্রসারণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।