নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় গরুর ল্যাম্পিস্কিন রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে হাজারো গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দপ্তরে একজন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, একজন ভেটেনারী সার্জন রয়েছেন। এফএএআই, ভিএফএ এবং ভেটেনারী কম্পাউন্ডার পদে রয়েছেন ৫জন এদের মধ্যে ২জন রয়েছেন ট্রেনিংয়ে।
৩জনকে দিয়ে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলে বেশীর ভাগ কৃষকের নির্ভর করতে হয় পল্লী পশু চিকিৎসকদের ওপর।
প্রতিদিন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে শত শত আক্রান্ত গরু নিয়ে আসছেন চিকিৎসার জন্য।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গবাদি পশুর মাঝে ল্যাম্পি স্কিন রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। রোগের ব্যপকতা এতই ছড়িয়ে পড়েছে যে, পল্লী পশু চিকিৎসকদের দম ফেলার ফুসরত নেই।
অনেক পরিবার তাদের একমাত্র সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে, প্রথমে গরুর গায়ে ছোট ছোট আকারে চামড়া ফুলে যাওয়া।
এরপর ওই চামড়া টুকু ফুটে গিয়ে ঘা হচ্ছে তারপর সেখান থেকে কলিজায় সংক্রমণ হয়ে গরু মারা যাচ্ছে।ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে মৌজা বামুনিয়া গ্রামের অজয় চন্দ্র রায়ের একটি ষাঁড়, শহিদুল ইসলামের ১টি, ২নং ওয়ার্ডের বারবিশা বামুনিয়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ১টি, অমল চন্দ্র রায়ের ১টি, ৩নং ওয়ার্ডের আবজাল হোসেনের ১টি, জগদিস রায়ের ১টি, ব্রজগোপাল রায়ের ১টি,
৬নং ওয়ার্ডের সত্যেন চন্দ্র রায়ে ১টি, ১নং ওয়ার্ডের রবিউল ইসলামের ১টি, ৪নং ওয়ার্ডের বেবিনুর ইসলামের ১টি, ৭নং ওয়ার্ডের পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের রুহুল ইসলামের ১টি (ফ্রিজায়াম), একই গ্রামের দুখু ইসলামের ১টি, ডোমার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মৃত নাটা মামুদের ছেলে কদম আলীর ১টি,
মৃত ময়নুল ইসলামের ছেলে জুলফিকার আলীর ২টি, মৃত মজির আলীর ছেলে এরশাদ হোসেনের ১টি গরু মারা যায়। গত এক মাসে ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় হাজারো গবাদি পশুর মৃত্যু হলেও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ওছমান গনী জানান, প্রতি বছর এই সময়ে ভাইরাস জনিত ল্যাম্পি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অনেকের গরু মারা গেছে শুনেছি। আমরা আমাদের খামারী এবং সাধারণ জনগণের মাঝে আলোচনা করেছি। যারা আক্রান্ত গরু নিয়ে অফিসে আসছেন তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।