সরেজমিনে দেখা গেছে, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো বেনাপোল কাস্টমস হাউজ খোলা থাকলেও কোনো কর্মকর্তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। কাস্টমসের কোনো কোনো শুল্কায়ন ও কর্মকর্তাদের রুমের দরজায় তালা ঝুলতে দেখা গেছে। বন্ধ আছে শুল্কায়নের কার্যক্রমসহ সব ধরনের কাজকর্ম। শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে সরকার এ বন্দর থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পণ্য চালান সরবরাহ নিতে না পারায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন সার্ভার বন্ধ থাকায় দুদিন আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা যায়নি। সার্ভার বন্ধের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে যেমন কোনো আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে না।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, কাস্টমসের কমপ্লিট শাট ডাউনের ফলে আমদানিকারকরা তাদের আমদানি করা পণ্য সময় মতো খালাস নিতে পারছেন না। এতে বন্দরের গুদাম ভাড়া বাবদ প্রতিদিন একটি বড় অংকের টাকা তাদের ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে। অনেক পণ্যের গুনগত মানও নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, সার্ভার জটিলতায় আমাদের ব্যবসায়ে অনেক ক্ষতি হয়েছিল। এখন আবার বাংলাদেশের এনবিআরের কর্মকর্তাদের কাজ বন্ধে আমরা পণ্য রপ্তানি করতে পারছি না। বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর এলাকা দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে এ সময়ে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য আনলোড করে ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো সে দেশে ফেরত যাচ্ছে বলে।
স্থলবন্দর, এনবিআর, কাস্টমস