ভালোবাসার নামে প্রতারণা, পরিবার ভাঙনের করুণ পরিণতি—সম্প্রতি এমনই এক নাটকীয় ও আবেগঘন ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পরকীয়ার কারণে স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে পালানো এক নারী প্রেমিকের প্রতারণা বুঝতে পেরে ফিরে আসতে চাইলেও স্বামীর একটুখানি মন গলেনি—তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমি মরে গেলেও ওকে আর ঘরে তুলব না!”
ঘটনাটি ঘটেছে থানার ভেতরে, যেখানে এক নারীর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। পাশে দাঁড়িয়ে দ্বাদশ শ্রেণির এক তরুণ—যিনি অভিযোগ অনুযায়ী নারীর প্রেমিক।
চেয়ারে বসা পুরুষটি ওই নারীর স্বামী, আর তার কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে চার বছরের কন্যা সন্তান।
জানা গেছে, স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকার সুযোগে ওই নারীর জীবনে আসে কিশোর প্রেমিক। শুরু হয় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, যা গড়ায় পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে। ঘর, স্বামী, এমনকি ছোট্ট মেয়েটিকেও রেখে প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হন তিনি।
তবে স্বপ্নের রাজপুত্র যে শুধুই অভিনয় করছিলেন—তা বুঝতে সময় লাগেনি। প্রতারণার জালে জড়িয়ে পড়ে ছিন্নমূল হন নারীটি। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেন—ফিরে যাবেন সেই ঘরে, যেখানে ছিল নির্ভরতা আর ভালবাসা। কিন্তু জীবন তো সিনেমা নয়—স্বামী ততদিনে মন থেকে তাকে মুছে ফেলেছেন।
থানার মেঝেতে বসে নারীর কান্না, স্বামীর পা জড়িয়ে আকুতি—“আমাকে মাফ করে দিন, আরেকবার সুযোগ দিন”। কিন্তু পুরুষটির ঠান্ডা কণ্ঠে বজ্রাঘাত, “মরে গেলেও আর ঘরে তুলব না!”
ভিডিওটি এক্স (পূর্বে টুইটার)-এর জনপ্রিয় হ্যান্ডেল ‘ঘর কা কলেশ’ থেকে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া দুই মেরুতে বিভক্ত। কেউ লিখেছেন, “ভুলের শাস্তি এমনই হওয়া উচিত!” আবার কেউ বলছেন, “ভুল তো মানুষেরই হয়, যদি নারী অনুতপ্ত হয়, তাহলে ক্ষমা করা যেত না?”
এই ঘটনায় উঠে এসেছে ভালোবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা, ক্ষমা আর পরিবারের বাস্তব চিত্র। সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র বিতর্ক—কে ঠিক, কে ভুল? তবে বাস্তবতা হলো, এই এক নারীর সিদ্ধান্ত বদলে গেছে তিনটি প্রাণের ভাগ্য।