প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর ডিজিটাল পরিষেবা কর আরোপ করায় কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনা ‘বন্ধ করছে’ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে কয়েক মাসের শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে আবারো দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনাময় বাণিজ্যবিরোধ শুরু হয়েছে। খবর এফটি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মার্কিন অর্থনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদারটির ওপর পাল্টা পদক্ষেপ নেবেন এবং সাতদিনের মধ্যে কানাডার পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন। এখন তারা মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর ডিজিটাল সার্ভিসেস ট্যাক্স আরোপ করেছে, যা আমাদের দেশের ওপর সরাসরি ও প্রকাশ্য আক্রমণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ অগ্রহণযোগ্য কর আরোপের কারণে আমরা এখনই কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করছি।’
‘কানাডার জনগণের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দারুণ’ উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের হাতে সব কার্ড আছে, তাদের একটাও নেই। আমরা খারাপ কিছু করতে চাই না, তবে অর্থনৈতিকভাবে আমাদের অনেক বেশি ক্ষমতা আছে।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশীয় কর্মী ও ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ স্বার্থরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জটিল আকার ধারণ করা এ আলোচনায় যুক্ত থাকব আমরা।
ট্রাম্পের এ আক্রমণাত্মক অবস্থানের মূল কারণ কানাডার অর্থমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শাঁপেনের এক ঘোষণা। কিছুদিন আগে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও কানাডা ডিজিটাল পরিষেবা কর চালু করবে।
এ করের আওতায় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে কানাডিয়ান ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আয়ের ওপর ৩ শতাংশ হারে কর দিতে হবে, যা মেটা, নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজনসহ সিলিকন ভ্যালির বেশ কয়েকটি কোম্পানি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি কানাডার স্থানীয় কোম্পানিকেও এ কর দিতে হবে, অন্যথায় জরিমানা গুনতে হবে।
কর আইনটি ২০২২ সাল থেকে প্রযোজ্য হবে। এ বিষয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘পেছনের তারিখ থেকে কর আরোপ করা একেবারেই অন্যায্য। এটি জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসনের সময়ের সিদ্ধান্ত। তাই আমরা আশা করেছিলাম নতুন কার্নি প্রশাসন সদিচ্ছার প্রতীক হিসেবে অন্তত আলোচনার সময় এটি স্থগিত রাখবে। কিন্তু তারা তেমন কিছু করেনি।’