বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে ৪১ দফা প্রস্তাবনা ছাত্রশিবিরের

জাবি প্রতিনিধি
  ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫২
আপডেট  : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:০১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে ৪১ দফা প্রস্তাবনা ছাত্রশিবিরের
ছবি : যায়যায়দিন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ক্যাম্পাস সংস্কারে ৪১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

রোববার (৩ নভেম্বর) বেলা সোয়া এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনা দেন বর্তমান কমিটির তিন নেতা।

1

ছাত্রশিবিরের জাবি শাখার প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকির সঞ্চালনায় এসময় একচল্লিশটি সংস্কার প্রস্তাবনা করেন জাবি শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মুহিব।

প্রস্তাবনা গুলো হলো, আহত বিপ্লবীদের স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নির্যাতন ও আক্রমণের তদন্ত এবং বিচারের ব্যবস্থা। সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনার নাম পরিবর্তন ও জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি সংরক্ষণ। জাকসু, হল সংসদ ও বিভাগওয়ারী শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন। দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ। হল দখল, ছাত্র নিপীড়ন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিচার। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত প্রতিটি খুন ও শিক্ষার্থী হত্যার পূর্ণাঙ্গ বিচার। আবাসিক হলের নিয়মতান্ত্রিক আসন বণ্টন। মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস। আবাসিক হলসমূহে সেবা বৃদ্ধি। উন্নত ডাইনিং ব্যবস্থা। ক্যাফেটেরিয়া, ক্যান্টিন ও বটতলার খাদ্যমান উন্নয়ন। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশগম্য ক্যাম্পাস। উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা। প্রতিটি বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো বরাদ্দ। শিক্ষা বৃত্তি, আর্থিক সহায়তা এবং শিক্ষা ঋণ।

আরও রয়েছে, অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন। সকল বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষার সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে ধর্মপ্রাণ মুসলিম শিক্ষার্থীদের যোহরের নামাজের সময় গড়িয়ে না যায়। শিক্ষার্থীদের বৈতনিক কাজের সুযোগ। গবেষণার জন্য বাজেট বরাদ্দ। পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সুবিধা। মননশীল সাংস্কৃতিক পরিবেশ বিনির্মাণ।

প্রস্তাবনার মধ্যে আরও রয়েছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ। অযাচিত ফি বাতিল ও ফি কমানো। শিক্ষকদের বেতন কাঠামো প্রণয়ন। বাণিজ্যিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কার। প্রশাসনিক আধুনিকীকরণ। ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ। লাইব্রেরির মান উন্নয়ন। ক্রীড়া চর্চার প্রসার। ক্যাম্পাস নিরাপত্তা জোরদার করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেস স্থাপন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।

প্রত্যেক ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয়ের ব্যবস্থা করা। র‍্যাগিং, বুলিং ও রেসিজম প্রতিরোধ। আদিবাসী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮'-এর নিবর্তনমূলক ধারাসমূহ বাতিল করে নতুন আঙ্গিকে এই অধ্যাদেশ সংস্কার করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাত সাড়ে এগারোটায় এক বিবৃতির মাধ্যমে দীর্ঘ পয়ত্রিশ বছর পর জাবিতে প্রকাশ্যে আসে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির।

যাযাদি/এআর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে