শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মেধার মূল্যায়ন করতে হলে আগে মেধাবী হতে হবে : হাবিপ্রবি ভাইস-চ্যান্সেলর

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
  ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫
ছবি: যায়যায়দিন

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এনামউল্যা বলেন, এই আন্দোলনের অন্যতম বিষয় ছিল মেধার মূল্যায়ন ও বৈষম্য নিরসন করা। তাই মেধার মূল্যায়ন করতে হলে প্রথমেই তোমাদের মেধাবী হতে হবে। এজন্য মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সুপার কাউন্সিল এর আয়োজনে ছাত্রী হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় অডিটোরিয়াম-১ এ উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার। সভাপতিত্ব করেন হল সুপার কাউন্সিল এর সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আবু সাঈদ মন্ডল। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, বিভিন্ন হলের হল সুপারসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের হল সুপার প্রফেসর ড. মো. মোশারফ হোসেন ভূঞা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা আরো বলেন, তোমাদের সমস্যা ও বিভিন্ন অভিযোগ গুলো জানার জন্যই আমি আজকের মতবিনিময় সভার উদ্যোগ নিয়েছি। এর প্রধান লক্ষ্য হলো সীমিত সম্পদের মাঝেও যেন আমরা তোমাদের দাবি গুলো অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করতে পারি। এখন তোমরা এসে যদি তোমাদের কথা গুলো উপস্থাপন না করো, সেক্ষেত্রে খুব বেশি কিছু করার থাকেনা। তোমরা যারা আজ এসেছো তোমাদের দাবী গুলো নিয়ে আমরা কাজ করবো। তিনি বলেন, তোমার, আমার নিরাপদ ভবিষ্যৎ ও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য যাঁরা অকাতরে জীবন দিয়েছে, তাঁরা তোমাদেরই বন্ধু বান্ধবী। আমি তাঁদের এই আত্মদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। পাশাপাশি আহতদের আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের হল সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন এর আগে কখনও কোন ভিসি স্যারকে সরাসরি ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করতে দেখিনি। প্রথম এ ধরণের আয়োজনের জন্য আমরা আনন্দিত। এর ফলে আমরা আমাদের কথা গুলো সরাসরি মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর স্যারের নিকট তুলে ধরতে পারছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, তোমরা ডাইনিং এর সমস্যা নিয়ে কথা বলেছো, এক্ষেত্রে হলের সকলেই ডাইনিং এ খেলে খাবারের মান বৃদ্ধি পাবে। এরপরও কোন সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে একজন আরেকজনের প্রতি ও নিয়ম কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কাজ করতে হবে। আমাদের আরেকটি বড় সমস্যা হলো মাদক, তাই মাদক কে না বলতে হবে, তাহলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো থাকবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তৎপর থাকবে।

এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় শিক্ষার্থীদের অবাসন সংকট, ডাইনিং, রিডিং রুম, অনাবাসিক ফি, শব্দদূষণ, হলের নিরাপত্তাজনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা শোনেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। উল্লেখ্য, পরবর্তীতে ছাত্রদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে