জুলাই বিপ্লবের পর দেশের কাঠামোতে পরিবর্তনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। শিক্ষার্থীরা হয়েছে সচেতন, নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। তারই অংশ হিসেবে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সাংবাদিক ক্লাব হিসেবে 'রুয়েট রিপোর্টার্স ইউনিটি' গত ১৯ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করে। ক্লাবটির প্রতিষ্ঠা রুয়েটে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের এক অনন্য দ্বার উন্মোচন করেছে। এর ফলে রুয়েট কেন্দ্রিক খবর জনসাধারণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে আটজন কার্যনির্বাহী সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে রুয়েট রিপোর্টার্স ইউনিটিতে। এতে সভাপতি হিসেবে আছেন রুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাঈন উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুব উজ জামান। সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আহনাফ জামান জারিফ।
রুয়েট রিপোর্টার্স ইউনিটির আগমনকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, 'রুয়েটে সাংবাদিক ক্লাবের সূচনাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা আনন্দিত যে রুয়েটের শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতার মতো এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এসব কাজ তাদের জানার পরিধিকে আরো শাণিত করবে। রুয়েট নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে রুয়েটকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরবে এই প্রত্যাশা করি।
ক্লাবটির সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, 'রুয়েটের মতো ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও অন্যান্য খাতের অর্জনগুলো সাধারণত খুব বেশি মিডিয়া ফোকাস পেত না আগে। সেই জায়গায় সাংবাদিক হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে বৃহৎ পরিমন্ডলে রুয়েটের প্রতিনিধিত্ব করার চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করে আমরা সত্যিই গর্বিত। নতুন পথচলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।'
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উজ জামান বলেন, 'আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং আনন্দিত যে রুয়েট রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হলো ছাত্রদের মাঝে সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং একটি সুস্থ সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করা। ইতিমধ্যে আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালের সাংবাদিক ক্লাব এবং পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, সাংবাদিকতার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মচারীর মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করতে পেরেছি। এই সংযোগ শুধু ক্যাম্পাসের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয় বরং রুয়েটের গৌরব ও কৃতিত্বকে বহির্বিশ্বের সাথেও যুক্ত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই পথচলাকে আরো সমৃদ্ধ করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও ভালোবাসা একান্ত কাম্য।'
যাযাদি/এসএস