জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, ৩৬ জুলাই বিপ্লবের শহীদদের পরিবারকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তাদের নামে স্মৃতি ফলক নির্মাণ, ভবনের নামকরণ ও শিক্ষাবৃত্তি চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিশেষ সুবিধা সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদেরকে যোগ্যতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে গাজীপুরস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত ২৭তম সিনেট অধিবেশন-২০২৫-এর সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিনেটাররা উপস্থিত ছিলেন। সিনেট অধিবেশনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের,
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব,
প্রফেসর ড. আমানুল্লাহ বলেন, একমাত্র সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা দেশে ও দেশের বাইরে ভালোমানের ও আকর্ষণীয় বেতনের চাকরির সুযোগ এবং অধিকতর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ নিশ্চিত করতে পারে। স্কিল বেইজড কারিকুলাম প্রণয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তা গড়ে তোলা গেলে বেকারত্ব উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত কোর্সের সঙ্গে অন্তত দুইটি প্রফেশনাল/কারিগরি/ভোকেশনাল কোর্স যুক্ত করে কারিকুলাম সংস্কার করা হচ্ছে।
উপাচার্য বলেন, সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের অনার্স কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে, যা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল।
কারিকুলাম সংস্কারের পাশাপাশি কলেজ র্যাঙ্কিং, মডেল কলেজ নির্বাচন ও ভাইস চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া জুলাই বিপ্লবের শহীদদের নামে বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।