বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন' শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য ড. এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাকৃবির গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওয়াকিলুর রহমান। এছাড়া কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ওয়াকিলুর রহমান বলেন, আজকের এই সেমিনারটি একটি সচেতনতামূলক সেমিনার। আমরা সকলেই ভোক্তা। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের জন্যই আজকের এই আয়োজন। ভবিষ্যতে তারাই কোনো না কোনোভাবে এই আইন বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত থাকবেন।
সেমিনারে একটি মৌখিক এবং ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদেএ বিস্তারিত ধারণা প্রদান করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার উপবিভাগ) আফরোজা রহমান।
মুখ্য আলোচক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, একজন মানুষ মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে মৃত্যুর পর দাফন বা শেষকৃত্য পর্যন্ত একজন ভোক্তা। অধিকার ও কর্তব্য একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। একজন ভোক্তার প্রধান কর্তব্য হলো সচেতন থাকা। যারা ভোক্তাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। ভোক্তা অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সবসময় সজাগ ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যের পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে একটি মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি ড. এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি বলেন, ভোক্তাদের আগে নিজেকে সচেতন হতে হবে। অধিকার চর্চার পূর্বশর্ত হলো সচেতনতা। একজন ভোক্তা যদি নিজের অধিকার সম্পর্কে অবগত না থাকেন, তাহলে সে অধিকার লঙ্ঘিত হলেও তার প্রতিকার চাইতে পারবেন না। এজন্য প্রত্যেক ভোক্তার উচিত সচেতন হওয়া, প্রতারিত হলে অভিযোগ করা এবং অন্যদেরও সচেতন করতে এগিয়ে আসা। সমাজে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।