বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান সামাজিক মাধ্যমে বেশ নিয়মিত। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি। এবার তিনি নেটাগরিকদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মাদরাসার এতিম শিশুদের বেদনার গল্প।
গতকাল মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে সংগৃহীত একটি লেখা প্রকাশ করেছেন জয়া। ওই লেখায় উঠে এসেছে কওমি মাদরাসাগুলোর করুণ দৃশ্য।
জয়ার ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদরাসা গুলো ছুটি হতে থাকে। বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে কেউ নিতে আসে না। এদের কারও বাবা-মা নেই, কারও বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও মামা খালা চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকীরা সারাদিন কান্না করে।’
এরপর লেখা আছে, ‘তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না। তারা সারাবছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়। মৃত মা-বাবার ওপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়- কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেলেন? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারতেন না? মা বাবা বেঁচে নাই তো কী হইছে? মামা চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেঁচে থাকতে মামারা কত আদর করত! বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।’
সবশেষে অনুরোধ করে লেখা হয়েছে, ‘একটা অনুরোধ-এই ঈদে আপনারা কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। নিদেন পক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ সহায়ক হন।’
যাযাদি/ এস