ভোলার তজুমদ্দিনে ধর্ষণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃত ছাত্রদল নেতা রাসেলের মুক্তির দাবিতে উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে।
এ সময় সংবাদ সংগ্রহে থাকা এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের নেতার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ডিবি পুলিশ তজুমদ্দিন উপজেলার কামার পট্টি এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতা মো. রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
পরে তজুমদ্দিন থানায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ভোলা জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
ছাত্রদল নেতা রাসেল ধর্ষণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত হলেও পরিবার দাবি করছে, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
তারা জানায়, ঘটনার সময় রাসেল ঘটনাস্থলে ছিলেন না এবং তিনি কোনোভাবেই এতে জড়িত নন।
এরপর দুপুর ৩টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু ও সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টুর নেতৃত্বে ৫ শতাধিক দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ রাসেলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় কলেজ ছাত্রদল নেতা রাসেল ও সজীবকে পহেলা জুলাই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে একইদিন বিকেল ৫টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তজুমদ্দিন উপজেলা শাখার আয়োজনে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল হয় আলোচিত ধর্ষণ মামলার বিচার দাবিতে। এতে দলের উপজেলা নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
রাসেলের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংবাদিক এম এ হালিম।
তিনি ভোলা টাইমস ও বাংলাদেশ সমাচারের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
হালিম জানান, সমাবেশস্থলে ছাত্রদল নেতা রাসেলের আটক সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের সময় হঠাৎ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন তাকে অতর্কিতভাবে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, হামলার সময় ইকবাল হোসেন নিজেও সমাবেশে অংশ নিচ্ছিলেন এবং তিনি রাসেলের মুক্তির দাবিতে সরব ছিলেন। আহত সাংবাদিক হালিমকে তজুমদ্দিন উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় তজুমদ্দিন প্রেসক্লাব নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে যুবদলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।