নব্বই দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন দিয়া মির্জা। তার ঝুলিতে রয়েছে একাধিক হিট সিনেমা।
বর্তমানে খুব একটা সিনেমায় দেখা যায় না তাকে। তবে যেসব কাজ করেন, তাও বাছাই করেই করেন।
সাধারণত রোমান্টিক নায়িকা হিসেবেই দর্শকমহলে পরিচিতি তার।
তবে ২০১৯ সালে সত্য ঘটনা অবলম্বনে ‘কাফির’ সিরিজে শেহনাজ পারভিন চরিত্রে অভিনয় করে পুনরায় সাড়া ফেলেন দিয়া মির্জা।
এতে একজন পাকিস্তানি নারীর ভূমিকায় তার অভিনয় ছিল সাবলীল। দেখা যায়, ভুল করেই এক পাকিস্তানী নারী এলওসি অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের ঘটনার প্রেক্ষাপটে তৈরি হয় এটি।
গত ৪ এপ্রিল জি ফাইভে শুরু হয়েছে সিরিজটি। এতে অভিনয় নিয়ে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন বলিউড তারকা।
সিরিজটিতে ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে। জানিয়েছেন, ভয়ে ও আতঙ্কে নাকি শরীর কাঁপছিল।
শারীরিক ও মানসিকভাবে ধর্ষণের সিক্যুয়েন্স কেমন প্রভাব ফেলেছে, তা মনে পড়তেই এখনো শরীরজুড়ে শিহরণ জাগে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী দিয়া মির্জা বলেছেন, আমার মনে আছে, যখন ধর্ষণের শুটিং চলছিল, তা বেশ কঠিন ছিল। শট দেয়ার পর শরীর কাঁপছিল আমার।
এটি এতটাই অস্বস্তি লাগছিল যে বমি করেছিলাম। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ওই পরিস্থিতি যে কতটা কঠিন ছিল, তা কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, একজন পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে নিজের চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলে ধরাই আমার কাজ।
এ জন্য সহস্র সমস্যা থাকার পরও আমি আমার সেরাটুকু দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
এ ব্যাপারে দিয়া মির্জা বলেন, আমি মনে করি একজন অভিনয়শিল্পীর কাছে তার চরিত্র প্রধান গুরুত্বপূর্ণ। পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য।
এ জন্য যখন যে দৃশ্যের জন্য শট দেয়ার প্রয়োজন হয়, তখন সেভাবেই নিজেকে তৈরি করতে হয়।
বাস্তবে মা হওয়ার আগে এমন চরিত্রে অভিনয় করার সময়ই যেন প্রকৃত অর্থে আমি মা হয়ে উঠেছিলাম।
কেননা, অভিনয়ের সময় মাতৃত্বের বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করেছি। মাতৃসুলভ মনোভাব তৈরি হয়েছিল।