পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যে কোনো রাজনৈতিক জটিলতার প্রথম কোপ গিয়ে পড়ে শিল্পীদের ওপর।
২০১৬ সালে ভারতশাসিত কাশ্মীরের উরিতে হামলার পর ভারতে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিলেন পাকিস্তানি শিল্পীরা। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় আবারও দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এবারও টার্গেট করা হয়েছে পাকিস্তানি শিল্পীদের।
এরই মধ্যে ফাওয়াদ খান অভিনীত বলিউড সিনেমা ‘আবির গুলাল’-এর মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের ‘সর্দারজি থ্রি’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল দিলজিৎ দোসাঞ্জের সঙ্গে, সেটিও অনিশ্চিত।
ফাওয়াদ ও হানিয়া আমির ছাড়াও আলি জাফর, সোনম সাঈদ, বিলাল আব্বাস, মোমিনা মোহতেসান, ইকরা আজিজ, ইমরান আব্বাস, সজল আলীসহ অনেক পাকিস্তানি শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বøক করে দেওয়া হয়েছে ভারতে। এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়া ও ভারতের সংবাদমাধ্যমে নিত্যনতুন গুজব ছড়ানো হচ্ছে পাকিস্তানি শিল্পীদের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি হানিয়া আমিরের নামেও এমন একটি গুজব ছড়ানো হয়েছিল। তার নামে ছড়ানো ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পেছনে নাকি রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাত! হানিয়া নাকি এমনটা বলেছেন!
পাকিস্তানি শিল্পীদের সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য তিনি নাকি নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছেন। এমন গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন হানিয়া আমির। গত শুক্রবার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন অভিনেত্রী।
হানিয়া আমির লিখেছেন, ‘সম্প্রতি আমার নামে একটি মিথ্যা বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন কোনো বিবৃতি আমি দিইনি। পুরো বিষয়টিই সাজানো। এটা খুবই সংবেদনশীল এবং আবেগঘন সময়। সাম্প্রতিক মর্মান্তিক ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য, তাদের পরিবারের জন্য আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে আছে। এ ঘটনায় সমবেদনা প্রয়োজন, রাজনীতিকরণের নয়।’
অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, চরমপন্থি বা সন্ত্রাসবাদীদের কর্মকাÐের দায় কোনো দেশ বা ওই দেশের নাগরিকদের ওপর দেওয়া যায় না। প্রমাণ ছাড়া দোষারোপ কিন্তু বিভাজন আরও বাড়িয়ে দেয়।’
যাযাদি/আর