ঘুমিয়ে ছিলেন স্ত্রী। এই সুযোগে তার নাকের কিছু অংশ চিবিয়ে খেয়ে ফেললেন মাতাল স্বামী। কারণ, বন্ধুবান্ধব থেকে আত্মীয়-স্বজন সবাই ওই নারীর নাকের প্রশংসা করেন। যা সহ্য হয়নি তার স্বামীর। করেন পরকীয়ার সন্দেহ। ঝাল মেটান নাকের ওপর।
অবাক করার মতো হলেও গত শুক্রবার (২ মে) এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার শান্তিপুরের গোপালপুরে।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে স্বামীর বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মহিলা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, শান্তিপুরের গোপালপুরের বাসিন্দা বাপন শেখের সঙ্গে ৯ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বীরপাড়ার ওই মহিলার। বর্তমানে তাদের আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
অভিযোগ, বাপন মদ্যপান করে প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। এছাড়া মানসিক নির্যাতন করতেন। মহিলা বলেন, ‘ও প্রায়ই আমাকে বলতো, তোর নাকটা খুব সুন্দর। ওটা আমি উপড়ে ফেলব।’
তবে স্বামীর কথায় ততটা গুরুত্ব দেননি মহিলা। এরপর গত শুক্রবার রাতে ঘুমিয়ে থাকার সময় আচমকা তার স্বামী নাকে কামড় বসিয়ে কিছুটা অংশ চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন। যন্ত্রণায় সঙ্গে সঙ্গে মহিলার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। স্বামীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বাপন তার বাঁ-হাতের একটি আঙুলের অংশ কামড়ে খেয়ে ফেলে বলে অভিযোগ।
মহিলার আরও অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাপন তার উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার চালাতেন। কিন্তু এদিনের ঘটনায় হতবাক সবাই।
মহিলা জানিয়েছেন, চিৎকারের চেষ্টা করলে বাপন তার গলা টিপে ধরেন। পরে পরিবারের সদস্যরা ছুটে গেলে অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মহিলার আরও অভিযোগ, কন্যাসন্তান হওয়ার পরে তার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনও অত্যাচার শুরু করে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি অনেক দিন ধরেই বাপের বাড়িতে আছেন। কিন্তু, সেখানেও স্বামীর অত্যাচার চলত। মহিলার আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে তার স্বামী তাকে মেরে ফেলতে পারে।