সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশে নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু ঝুঁকি এবং জলবায়ু বিজ্ঞানকে বিবেচনায় নেওয়া জরুরী: পরিকল্পনাবিদ ও নাগরিক সমাজ

যাযাদি ডেস্ক
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩০
বাংলাদেশে নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু ঝুঁকি এবং জলবায়ু বিজ্ঞানকে বিবেচনায় নেওয়া জরুরী: পরিকল্পনাবিদ ও নাগরিক সমাজ

আজ সকাল ৯ টায় সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) আয়োজিত ‘ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ: পলিসি গ্যাপস অ্যান্ড রিকমেন্ডেশনস’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মোঃ সামছুদ্দোহার সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখ, ডরপের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, দিয়াকোনিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর খোদেজা সুলতানা লোপা, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন এর রিজিওনাল ক্লাইমেট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার শাহনেওয়াজ ওয়ারা।

আইসিএলইআই এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মোঃ জুবায়ের রশিদ, মোঃ আতিকুর রহমান মল্লিক, এনভায়রনমেন্ট স্পেশালিস্ট, অনুসন্ধানী ক্রিডস লিমিটেড এছাড়া নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধি, নগর পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষাবিদ উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে সিপিআরডির রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার নাজনীন সুলতানা এবং রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলমী তাবাসসুম গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন। কনফারেন্সে সিপিআরডির প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সিপিআরডির উপস্থাপিত নিবন্ধে বলা হয় বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং জলবায়ু-সহনশীল নগরায়নে সরকার, নীতি নির্ধারক এবং নাগরিক সমাজরকে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। নিবন্ধে রেজিলিয়েন্স ইনডেক্স, ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স মেজারমেন্টের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এছাড়া পৌরসভাগুলির বাজেটের সীমাবদ্ধতা প্রশমিত করা, দরিদ্রবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষতিগ্রস্ত সহায়ক নগরায়ন, বিভিন্ন মন্ত্রণাসমূহের মধ্যে সমন্বয় এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রক্রিয়াগুলিতে অংশীজনের অর্থবহ অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে মোঃ শামসুদ্দোহা বলেন, প্রতিটি নীতিমালায় জলবায়ু পরিবর্তনের দিক বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশে নগরায়ণ বিদ্যমান শহর অঞ্চলগুলিকে কেন্দ্র করেই ঘটে, তাই শহর অঞ্চলগুলি অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে বিপর্যস্ত, যার ফলস্বরূপ শহরের বাসীন্ধাদের নিম্নমানের জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ জলবায়ু অভিবাসীদের বসবাসের জন্য শহরগুলিকে জলবায়ু সহিষ্ণু হিসাবে তৈরি করার উপর গুরুত্বদেন। নগরায়ন যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক, জলবায়ু সহনশীল হয়ে ওঠে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতীবাচক প্রভাব প্রশমনে অবদান রাখতে পারে সে ভাবে তৈরি করতে নাগরিক সমাজের পক্ষ্য থেকে নীতি সহযোগীতা এবং প্রয়োজনীয় চাপ প্রদান করার উপর গুরুত্বদেন।

ডরপ এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান উল্লেখ করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন সহীষ্ণ নগরাণে আমাদের প্রচুর নীতিমালা এবং নির্দেশিকা রয়েছে, এখন জরুরি হচ্ছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তিনি নীতি প্রণয়নে জনগণের সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার উপর জোরদেন।

স্ট্যানফোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার প্রধান শহরগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতার আলোকে মেগা প্রকল্পগুলি পুনর্মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বিদ্যমান নীতিগুলির মধ্যে আন্তঃসংযোগের একটি উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি শাখার পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখ, নীতি ও অ্যাডভোকেসি প্রচেষ্টায় জনসম্পৃক্ততার অভাবকে তুলে ধরেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমাদের দেশে ঢাকা শহরকে যে পরিমাণ গুরুত্ব দেয়া হয়, সে তুলনায় অন্যান্য শহরগুলিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়না বলেই লক্ষ্য করা গেছে। নীতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের সংস্থান বাড়াতে সরকারের সাথে ঈঝঙ-দের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে