খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের ক্যাংগালছড়ি এলাকার ঝর্ণার পাশেই দেখা মেলেছে বিশাল এক সাদা জারুলের বাগান।
ক্যাংগালছড়ি রেঞ্জের উদ্যোগে বন বিভাগের জায়গায় গড়ে তুলেছেন জারুলের বিশাল এ বাগানটি। পাশেই রয়েছে ছোট্ট একটি বাজার। নীল রঙের ঠাসা বাগানে আলাদা করে নজর কেড়েছে সাদা জারুল। পুরো বাগানে ৩ থেকে ৪টি গাছে সাদা জারুল ফুটেছে। এই মৌসুমে আর কোথাও সাদা জারুল দেখা যায়নি। সাদা জারুল দুর্লভ ফুল। বেগুনি রঙের জারুল সর্বত্র দেখা গেলেও, সাদা জারুল দেখা যায় খুবই কম।
জারুলের বনে প্রবেশ করে দেখা যায়, বেগুনি ফুলের পাপড়ির সাথে পড়ে আছে সাদা জারুলে পাঁপড়ি। সড়কের পাশে এত বড় জারুলের বন দেখে মুগ্ধ হয় পথচারিরা। অনেকে আবার প্রথম সাদা জারুল দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।
সাদা জারুলে বাগানটি নান্দনিক হয়ে উঠেছে। সাদা জারুলের সাথে বেগুনি জারুলের পার্থক্য রঙ ও সহজলভ্যতায়। বেগুনি জারুল সর্বত্র ফুটে থাকলেও সাদা জারুল খুবই কম দেখা যায়। এবারের গ্রীষ্মে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে জারুল ফুল। জারুলের ইংরেজি নাম জায়ান্ট ক্রেপ-মার্টল, বৈজ্ঞানিক নাম ল্যাগারস্ট্রোমিয়া স্পেসিওসা।
খাগড়াছড়ির হিল অর্কিড সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সাথোয়াই মারমা বলেন, ‘বেগুনি জারুল সর্বত্র দেখা যায়। এবার খাগড়াছড়িতে প্রচুর জারুল ফুটেছে। সাদা জারুল কেবল এই ক্যাংগালছড়ির অশ্রেণিভুক্ত বনে দেখলাম। এটি বেশ দুর্লভ।
বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন সোসাইটি অব সিএইচটি এর সংগঠক প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, ‘গ্রীষ্মের লাল সোনাইল, কৃষ্ণচূড়া, সোনালুসহ বিভিন্ন প্রজাতি ফুল ফুটেছে। তবে সাদা জারুল এখন পর্যন্ত ক্যাংগালছড়িতে দেখলাম। অন্য কোথাও এটি দেখা যায়নি। আমাদের দেশের সর্বত্র বেগুনি জারুল দেখা যায়। সাদা জারুল সংরক্ষণ ও বিস্তার ঘটাতে হবে।’