৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেয়া এই বাংলাদেশ ২০২০ সালের মহান স্বাধীনতা দিবসে পা রাখবে ৫০ বছরে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত, প্রায় সর্বক্ষেত্রে অবকাঠামোবিহীন সেদিনের সেই সদ্যজাত জাতির ৫০ বছরে অর্জন করেছে অনেক কিছুই। বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে উৎক্ষেপণ করে দেখিয়েছে দ্রম্নতগতিসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।
উত্তরণ ঘটেছে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে। সর্বশেষ জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার পৌঁছানোর সফলতাও দেখিয়েছে এই দেশ। তবে এত কিছুর পরও মুদ্রার অপর পিঠে রয়েছে অনেক না পাওয়ার গল্প। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের ৫০ বছর পর জাতি প্রকৃত অর্থে কতটুকু বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছে, সে প্রশ্নটি সঙ্গত কারণে সামনে চলে আসে। কত অমুক্তিযোদ্ধা ব্যক্তি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে সরকারি ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে।
আবার অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা আজ পর্যন্ত সুযোগ-সুবিধা দূরে থাক নিজের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতিটুকুও আদায় করতে পারেননি। শুধু ভিন্নমত পোষণের কারণে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার হিসেবটি কখন, কীভাবে জানা যাবে- সে কথাটি কেউ বলে দিতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের এতগুলো বছর ও মুক্তিযুদ্ধের নানা ইসু্যতে আমরা এখনো দ্বিধা-বিভক্ত। দেশজুড়ে মাদকের ছড়াছড়ি তরুণ সমাজকে অন্ধকার জগতে ঠেলে দিচ্ছে। সর্বোপরি আমরা তরুণ প্রজন্ম মনে করি এবং বিশ্বাস করি, স্বাধীনতার সম্পূর্ণ সুফল পেতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতন হতে হবে।
কামারুল হাসান অভি
সমাজ কর্ম বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
সদস্য, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম।