নিশিতে নিসিন্দার কলি ঝড়াতে
মালি বেশে ছুটছে ওরা! ইদুরের সহচর হয়ে,
অকালের ফসল সকালের সাগরে ভাসাতে।
শত পাতক আজ হিমালয়ের পাদদেশে শান্ত,
যারা এখনো এই ডিঙিতে ভাসমান তারাই ক্লান্ত!
ক্লান্তির ঘনঘটায় নিসিন্দা, বৃক্ষদেবীরে স্বরে
ছায়ার আড়ালে সে-ও আবার মালির রূপ ধরে।
কুঞ্জবনেও তার ঠাঁই হয় না, নিষিক্ততার বিষে
ঝরে যাওয়া কলিগুলোর অস্তিত্বের দেহখানি।
তবুও দেখি কিছু ফুটন্ত নিসিন্দা, বাঁশের বাড়ন্ত
চারার ন্যায় গিরগিটির মতো ছুটে চলে!
অপরদিকে, তখনো মালিরা ঝুড়ি হাতে সেই
নিসিন্দার ফুটন্ত কলিতে ভোমর রূপে বসবার
মতলব আঁটে, আস্ত একটা মুখোশ পরে।
হায়রে হায়! তবুও না বুঝা নিসিন্দার শরীর উষ্ণ,
\হঘোড়ায় চড়ে সাতার দিচ্ছে আকাশ থেকে পাতালে
হাতি থেকে মশা পর্যন্ত তর্কে জড়িয়ে।
স্বীয় বাক্যটি, ওগো নিসিন্দা স্বীয় পাপড়ি দিয়ে
পক্ষীর ন্যায় পালকে ঢাকো তনু, রাজা-রানীকে
ধর্মের কথা নয়, নিষিক্ততার বিচারের আরজি।