শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সোশ্যাল মিডিয়া যখন সফলতার মাধ্যম

মোশারফ হোসাইন
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

এ সময়ের সফল ও তরুণ সঙ্গীত পরিচালক মো. আব্দুলস্নাহ আল ফাহাদ সৈকত। সবাই তাকে এএফ সৈকত নামে চেনেন। ছোটবেলা থেকে লালিত স্বপ্ন ছিল কাজ করবেন সঙ্গীতাঙ্গনে, সেই স্বপ্নের পিছনে সৈকতের হাঁটার পথ শুরুর দিকে ধূসর মরুভূমির মতো শূন্যতা হলেও বেশিদিন সেই শূন্য জীবন কাটাতে হয়নি, পেয়েছেন পূর্ণতা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে সঙ্গীত পরিচালনায় পুরোদমে সময় দিতে থাকেন। চলচ্চিত্র, নাটক ও মিউজিক ভিডিওর শতশত গান কম্পোজ করেছেন তিনি। হয়েছেন সফল সঙ্গীত পরিচালক।

সফল এই সঙ্গীত পরিচালকের স্ত্রী ফাইজা জয়া। সরকারি সঙ্গীত কলেজের এই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন তুমুল জনপ্রিয়। কণ্ঠের মূর্ছনায় প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। ১৫টিরও বেশি করেছেন একক ও মৌলিক গান। সঙ্গীতাঙ্গনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জয়া অর্জন করেছেন ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদসহ শতাধিক পুরস্কার। সঙ্গীত ভুবনের এই দম্পতি কথা বলেছেন মোশারফ হোসাইনের সঙ্গে, জানিয়েছেন তাদের সাফল্য ও সম্ভাবনার কথা।

আলাপচারিতায় ফাইজা জয়া বলেন, গানের প্রতি ভালো লাগা ছিল ছোটবেলা থেকেই। আমার মা গান করতেন, গানের হাতেখড়ি আমার মায়ের কাছেই। এবং বাবার অনুপ্রেরণায় আমার গান জীবন শুরু হয়, স্বামীর প্রেরণায় এখনো গান করে যাচ্ছি।

আপনার কেন মনে হলো গানের প্রতিভা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত, এর কী কোনো কারণ আছে? এই প্রশ্নের জবাবে জয়া বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি মাধ্যম যেখানে খুব সহজে ও অল্প সময়ে দর্শক ও শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানো যায়, দর্শক ও শ্রোতাদের মতামত সরাসরি পাওয়া যায়। প্রথমে সখের বসেই ফেসবুক পেজে গান প্রকাশ করা শুরু করি, দর্শকদের ব্যাপক সাড়া দেখে এখন নিয়মিত কভার করা গান, একক ও মৌলিক সঙ্গীত প্রকাশ করি। সঙ্গীতের এই সফলতা আমার মায়ের দোয়া ও অনুপ্রেরণায় সম্ভব হয়েছে, পারিবারিক সমর্থন সফলতায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।

আপনার গানে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ দেখা যায়, ফেসবুক পেজ নিজের নাম না দিয়ে কেন 'অসমাপ্ত গল্প' নাম দেওয়া হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সঙ্গীত শিল্পী বলেন, আমি চাই আমার গান সবার মধ্যে আজীবন বেঁচে থাকবে। আমার বিশ্বাস গানের গল্প কখনো শেষ হবে না, কোনো না কোনোভাবে অসমাপ্ত থেকে যাবে। তাই অসমাপ্ত গল্প।

সঙ্গীত শিল্পী ফাইজা জয়ার স্বামী এএফ সৈকত বলেন, আমার ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল পিছিয়ে পড়া সঙ্গীতশিল্পীদের এগিয়ে আনা, বিশেষ করে তরুণদের। 'প্রিয়কণ্ঠ' শিরোনামে একটি অনলাইন ক্যাম্পেইন করি, ৩ সিজনে ৩০ জন সঙ্গীতশিল্পীকে আমি আবিষ্কার করি, এবং তাদের গান কম্পোজিশন করি। সামনের দিনে এই কাজ আরও বড় আকারে করতে চাই।

সঙ্গীত ভুবনের দু'জন মানুষ এক হলেন কীভাবে? জানতে চাইলে এই সঙ্গীত পরিচালক বলেন, অনেক আগে থেকে আমাদের চেনাজানা, পরিচয়, দীর্ঘদিন ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল বিয়ের মাধ্যমে এরপর পরিণয়।

গান কম্পোজ করে তৃপ্তি পাচ্ছেন কিনা? এবং সেগুলো কাদের গান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাজটি যেহেতু আমার প্রাণে; সবার গান করেই তৃপ্তি পাই। জনপ্রিয় অনেক গানের মানুষের গান করা হয়, নাটক সিনেমার জন্যও করি। বিশেষ করে আমার সহধর্মিণীর গান করতেই আমার ভালো লাগে, তৃপ্তি পাই। তার গানের শ্রোতাপ্রিয়তা ব্যাপক এবং সবাই খুব ইতিবাচক ভাবেই দেখে।

নড়াইলে জন্ম নেওয়া সঙ্গীতশিল্পী জয়ার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তিনি সঙ্গীতশিল্পী হবেন, আছেন সঙ্গীতশিল্পী হয়ে। আমরণ থাকতে চান গান নিয়েই।

সঙ্গীত পরিচালক এএফ সৈকতের বাবা একজন সেনা সদস্য, সেই সুবাদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন তিনিও। সঙ্গীতের টানে ছেড়ে দেন চাকরি, এখন বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চান সঙ্গীতের এই পেশায়। শুধু গায়ক নয়, নতুনদের ভালো গায়ক

হওয়া আগে ভালো মানুষ হওয়ার পরামর্শ এই

সঙ্গীত পরিচালকের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে