বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

হাসপাতালে ডাক্তার উপস্থিত না থাকলেই কঠোর ব্যবস্থা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

টুঙ্গিপাড়া
গোপালগঞ্জ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডাক্তার
  ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৬
হাসপাতালে ডাক্তার উপস্থিত না থাকলেই কঠোর ব্যবস্থা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ছবি : যায়যায়দিন

শনিবার সকাল ১১টার কিছু সময় পর গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন কোন হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তারদেরকে কর্মস্থলে না পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে ডাক্তার নেই। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদেরকে শোকস করা হয়েছে। বর্তমান তাবোদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি সকল জেলা উপজেলা সিভিল সার্জনদের কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জরুরী রোগীদের জন্য বেড খালি রাখার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন এটা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমির মাটি। আমি আজ তিন মাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছি। যার জন্ম না হলে এই মাটিতে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে এখানে আসতে পারতামনা। এই টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জনবল সংকট আছে। আমি নতুন করে আরো ২১ জন ডাক্তার যোগদানের নির্দেশ দিয়েছি। বর্তমানে অনেক হাসপাতলেই জনবল সংকট আছে। আমি চেষ্টা করছি জনবল বাড়ানোর। মন্ত্রী আরো বলেন আমরা তৃর্ণমূল পর্যায়ে চিকিৎসার মান উন্নয়ন করব।

যাদেরকে যে জায়গায় পাঠানো হবে সেই চিকিৎসকের সেই স্থানে যেতে হবে। না গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধীর সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ১১ টায় পুষ্পাস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার, মোঃ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী একন্ত (উপ-সচিব) কমল কুমার ঘোষ, তথ্য ও জন সংযোগ কর্মকর্তা মোঃ মাঈদুল ইসলাম প্রধান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মীর সরোয়ার হোসেন চৌধুরী। স্বাধীনতার চিকিৎসা পরিষদ, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নর ও প্লাষ্টিক সার্জারী ইন ইনস্টিটিউট শাখার নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সভাপতি- জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহা-সচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন।

গোপালগঞ্জ জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি.এম শাহাবুদ্দিন আজম, গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ জিল্লুর রহমান, গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আজহারুল ইসলাম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ালীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইলিয়াচ হোসেন, পৌর মেয়র- শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল সহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুসহ নিহত পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এর পরে মন্ত্রী প্রশাসনিক ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে