আফ্রিকার দেশ সেনগোল। সেখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জানপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী পক্ষের। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অভিযোগ টিকটকের মাধ্যমে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে চায় বিরোধী দলগুলো। তাই এই সামাজিক মাধ্যমটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ যেনতেনভাবে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ক্ষমতাসীনরা।
ভিডিওভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক নিষিদ্ধ করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। বুধবার (২ আগস্ট) অস্থিতিশীলতা তৈরির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে যুক্তি দেখিয়ে দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টিকটকের অ্যাক্সেস স্থগিত থাকবে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, টিকটক অ্যাপ্লিকেশন এমন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যার মাধ্যমে ঘৃণা ও ধ্বংসাত্মক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য লোকজন পছন্দ করে। এটি দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা উসমানে সোনকোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ আনার পর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিরোধীদলীয় এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর থেকে দেশটিতে তার কর্মী-সমর্থকরা তীব্র বিক্ষোভ করছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরজুড়ে সেনেগালে বিক্ষিপ্তভাবে সহিংস বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখা গেছে। আগামী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য সোনকোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির বিরোধীদলীয় সমর্থকরা।
তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল তার নির্বাচনী পথ পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এসব বানোয়াট অভিযোগ এনেছেন।
যাযাদি/ এস