সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

বন্ধ করে দেওয়া হল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রাম

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ আগস্ট ২০২৪, ১৪:১৪
ছবি-সংগৃহিত

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়। এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে চেষ্টা করেও ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রাহকরা।

আবার বন্ধ করে দেওয়া হলো মেটার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। তবে এবার মাধ্যমগুলো বন্ধ করা হয়েছে শুধু মোবাইল নেটওয়ার্কে। এছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্কে টেলিগ্রাম অ্যাপও বন্ধ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়। এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে চেষ্টা করেও ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রাহকরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে গত ১৭ জুলাই থেকে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ গত ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে এসব প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত থেকে দেশে ইন্টারনেটে গতি স্বাভাবিক হচ্ছিল। দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির বেশি। ফেসবুক মোবাইল ডেটায় বন্ধ থাকলে আবার ভিপিএনের ব্যবহার বাড়বে এবং তা ইন্টারনেটের গতির ওপর প্রভাব ফেলবে।

এদিকে আজ (শুক্রবার) দেশব্যাপী প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন ও জুমার নামাজ শেষে ছাত্রজনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

ছাত্রদের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

একইসঙ্গে মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং মাদরাসার শিক্ষকদের 'ছাত্র জনতার গণমিছিল' বের করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ছয় দিন পর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে ছাড়া পেয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে প্রশ্ন করেছেন, 'ছয় দিন ডিবি হেফাজতে ছয়জনকে আটকে রাখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে আটকে রাখবেন কীভাবে।'

তিনি বলেছেন, 'যতদিন গণগ্রেপ্তার, জুলুম ও নির্যাতন চলবে, ততদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও চলবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে