মাত্র এক বছরের মাথায় পদত্যাগ করছেন স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ। তিনি দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। হামজা ইউসুফ প্রধামন্ত্রী হবার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। তিনি মূলত তার সরকারের জোট সরকার ভেঙে যাবার কারণে পদত্যাগ করেছেন। তিনি সব সময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে জোরা ভূমিকা রেখেছেন।
জানা যায়, স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ। স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সাথে এসএনপির জোট ভেঙে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। সোমবার (২৯ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউসুফ একটি টেলিভিশন ঘোষণায় বলেন, ‘আমি আমার মূল্যবোধ এবং নীতির বাণিজ্য করতে বা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যে কারো সাথে চুক্তি করতে ইচ্ছুক নই।’
তিনি আরো জানান, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।
একটি তহবিল কেলেঙ্কারি এবং গত বছর দলীয় নেতা হিসেবে নিকোলা স্টারজনের পদত্যাগে স্বাধীনতার পক্ষের এসএনপির অবস্থার বিপর্যস্ত হয়েছে। ভোটারদের প্ররোচিত করার জন্য দলটির নীতিগুলো কতটা প্রগতিশীল হওয়া উচিত তা নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ লড়াই হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে ইউসুফ বলেন, তিনি ‘বেশ আত্মবিশ্বাসী’ যে তিনি একটি অনাস্থা ভোট জিততে পারবেন।
সোমবার পর্যন্ত তার সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্যান্য দলের সাথে আলোচনার প্রস্তাবটি অনিশ্চিত ছিল।
স্কটিশ পার্লামেন্টকে আগামী ২৮ দিনের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। এর জন্য পার্লামেন্টের বেশিভাগ সদস্যদের ভোট প্রয়োজন। তা না পাওয়া গেলে নতুন করে নির্বাচন হবে।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০২৩ সালের মার্চে দেশটির ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তার দাদা-দাদি ও বাবা ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তান থেকে স্কটল্যান্ডে যান। সূত্র : আল জাজিরা
যাযাদি/ এস