রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্ত বরাবর একটি 'নিরাপত্তা বাফার জোন' তৈরি করছে রুশ সশস্ত্র বাহিনী।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার (২২মে) বলেছেন, 'আমি আগেই বলেছি , সীমান্তে প্রয়োজনীয় বাফার জোন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে। শত্রুর গোলাবর্ষণের অবস্থানগুলোকে সক্রিয়ভাবে দমন করা হচ্ছে।'
অন্যদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিওরহি তিখি এ পরিকল্পনাকে 'আক্রমণাত্মক' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার ভাষ্য, 'বর্তমানে শান্তি প্রচেষ্টার পথে প্রধান অন্তরায় রাশিয়াই।'
আজ শুক্রবার (২৩মে) ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার পুতিন এ ঘোষণা দেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট এর আগেও মার্চ মাসে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল সফরের সময় 'বাফার জোন' তৈরির সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন।
এরপর বৃহস্পতিবার সরকারের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি সীমান্ত পরিকল্পনার ওপর জোর দেন এবং সীমান্ত অঞ্চলে 'যা কিছু ধ্বংস হয়েছে, তা পুনর্গঠন ও পুনঃনির্মাণের' প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
পুতিন আরও জানান, 'আমাদের মানুষকে তাদের নিজ নিজ গ্রাম, বসতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি যেখানে অনুমতি দেয়, সেসব জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে এবং সব ধরনের যোগাযোগ ও অন্যান্য অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করতে হবে।'
রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার নেতা পুতিন সীমান্ত অঞ্চলে 'পুনর্গঠন' প্রকল্প নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বিশেষ বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন।
মার্কিনভিত্তিক সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সীমান্ত অঞ্চল সফরের সময় স্থানীয় পৌর কর্মকর্তাদের সঙ্গে নতুন বাফার জোন নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, একজন স্থানীয় কর্মকর্তা পুতিনকে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে বাফার জোন তৈরির আহ্বান জানান। জবাবে পুতিন জানতে চান, এই জোন কত কিলোমিটার গভীরে হওয়া উচিত।
এছাড়াও, পুতিন তার সফরের সময় বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার সীমান্তের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে, বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে।