মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রেমিকের ৩০ কোটি রুপি নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে প্রেমিকার পলায়ন

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ জুন ২০২৫, ১৩:৫১
প্রেমিকের ৩০ কোটি রুপি নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে প্রেমিকার পলায়ন
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বাসঘাতকতা কারণে সর্বস্ব হারিয়েছেন কানাডার এক প্রেমিক। প্রেমে অন্ধ হয়ে নিজের লটারির ৩০ কোটি রুপির পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থ জমা করেছিলেন প্রেমিকার অ্যাকাউন্টে।

সেই প্রেমিকা পরে তাকে ছেড়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যান—সঙ্গে নিয়ে গেছেন ওই বিপুল অর্থও।

1

ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার উইনিপেগে। লরেন্স ক্যাম্পবেল নামের ওই ব্যক্তি তার সাবেক প্রেমিকা ক্রিস্টাল অ্যান ম্যাককের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।

তার দাবি, ২০২৪ সালে তিনি নিজেই বিজয়ী লটারি টিকিটটি কিনেছিলেন। তবে বৈধ আইডি না থাকায় নিজে পুরস্কার দাবি করতে না পেরে প্রেমিকা ম্যাককেকে দিয়ে তা উত্তোলন করান।

সিটিভি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যাম্পবেল জানান, এক বছরেরও বেশি সময় তারা সম্পর্কে ছিলেন। বিশ্বস্ত ও প্রতিশ্রুতিশীল সম্পর্ক বলেই তিনি বিশ্বাস করেছিলেন।

নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় লটারির ৫০ লাখ কানাডীয় ডলার ম্যাককের অ্যাকাউন্টেই জমা দেওয়া হয়। প্রথমদিকে সবকিছুই স্বাভাবিক চলছিল। তারা একটি দোকানে গিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে নিশ্চিত হন পুরস্কার পাওয়া গেছে।

ম্যাককে ওভারসাইজ চেক হাতে ছবি তোলেন, যদিও তাতে তার মুখে তেমন উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। প্রকাশ্যে ওই পুরস্কারকে ক্যাম্পবেলের তরফ থেকে জন্মদিনের উপহার বলা হয়।

ক্যাম্পবেল জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই ম্যাককে উধাও হয়ে যান। তারা তখন একটি হোটেল রুমে একসঙ্গে থাকতেন।

কিন্তু হঠাৎই তিনি আর ফেরেননি এবং ফোন বা ম্যাসেজেরও কোনো উত্তর দেননি। পরে ক্যাম্পবেল যখন তার সন্ধান পান, তখন তিনি ছিলেন অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে বিছানায়- এমনই অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

তার আইনজীবী জানান, ম্যাককে কৌশলে কোনো যোগাযোগ ছাড়াই একেবারে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তিনি তার ফোন কল, মেসেজের উত্তর দেননি, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্লক করে দেন।

ম্যাককের আইনজীবী অবশ্য ক্যাম্পবেলের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে মামলাটি এখন চলছে ম্যানিটোবার কোর্ট অব কিং’স বেঞ্চে। এই মামলায় শুধুমাত্র ম্যাককের বিরুদ্ধেই নয়, ক্যাম্পবেল লটারি সংস্থা ও ম্যানিটোবা লিকার অ্যান্ড লটারি কর্পোরেশন-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন।

তার অভিযোগ, তারা ঝুঁকির বিষয়টি জানায়নি বা উপযুক্ত পরামর্শ দেয়নি। তার আইনজীবীর ভাষায়, এই মামলা শুধু প্রেমঘটিত প্রতারণার নয়, বরং এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা বনাম ভাগ্য- এই দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। এটি এমন এক অবস্থা, যা রাজ্য মালিকানাধীন লটারি কর্পোরেশনগুলোর অবহেলার কারণে তৈরি হয়েছে।

এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে ক্যাম্পবেলের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ কেউ তার বিশ্বাসঘাতী প্রেমিকাকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তবু বিশ্বাসে বড়ই ক্ষতি হতে পারে!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে