অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ১২৩ জনের লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ সময়ে ৪৭৪ জন আহত হয়েছেন।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি গণহত্যামূলক অব্যাহত আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৫,১০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২৭,৩৯৪ জনে।
বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল-জাজিরা ও আনাদোলুর।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘অনেক মৃতদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। কারণ উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না’।
এর ফলে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০-এরও বেশি বলে উল্লেখ করেছে। জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের আক্রমণ শুরু করে। নতুন এ দফায় ইসরাইল ৪,৮২১ জনকে হত্যা ও ১৫,৫৩৫ জনকে আহত করেছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০২৪ সালের নভেম্বরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়াও, গাজায় ইসরাইলের চালানো যুদ্ধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলা চলছে। যেখানে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
গোটা গাজা উপত্যকা এখনো চরম মানবিক সংকটে ভুগছে। টানা ২০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি অবরোধের মুখে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা, পানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্যের মারাত্মক ঘাটতি বিরাজ করছে।
বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ ও অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানালেও গাজায় দখলদার ও বর্বর ইসরাইলের হামলা ও অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।