আন্তর্জাতিক

উত্তর আয়ারল্যান্ডে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা একাধিক ক্ষেত্রে বর্ণবিদ্বেষ থেকে উৎসারিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড পুলিশের চিফ কনস্টেবল জনি বারসফোর্ড জানিয়েছেন, “আমরা যা দেখছি, তা শুধু সামাজিক অস্থিরতা নয়—এটি সম্পূর্ণরূপে বর্ণবিদ্বেষপ্রসূত। কিছু নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।”

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেলফাস্টসহ বেশ কয়েকটি শহরে আফ্রিকান, দক্ষিণ এশীয় এবং পূর্ব ইউরোপীয় অভিবাসী পরিবার ও ব্যবসার ওপর একাধিক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

চিফ কনস্টেবল জানান, তদন্তে দেখা গেছে এই হামলাগুলো ছিল পরিকল্পিত, এবং অনেক ক্ষেত্রেই অনলাইন ঘৃণামূলক প্রচারনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তিনি বলেন, “আমরা ঘৃণার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছি। কারও জাতিগত পরিচয়, ধর্ম বা অভিবাসী হওয়ার কারণে আক্রমণের শিকার হওয়া মেনে নেওয়া হবে না।”

স্থানীয় অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, এই হামলাগুলো সুশৃঙ্খল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে এবং স্থানীয় রাজনীতিকদেরও আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া উচিত। অন্যদিকে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি “উদ্বেগজনক” এবং “আইনের শাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ” হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে ইউরোপজুড়ে অভিবাসী বিরোধী মনোভাব বাড়ছে এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড তার ব্যতিক্রম নয়।

চিফ কনস্টেবল বারসফোর্ড আহ্বান জানান, “আমরা সবাই মিলে যদি একসঙ্গে না দাঁড়াই, তাহলে ঘৃণাই সমাজকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দেবে।”