প্রশান্ত মহাসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় নজরদারির সময় জাপানি টহল বিমানকে চীনা যুদ্ধবিমান খুব কাছ দিয়ে ধাওয়া করেছে বলে জানিয়েছে টোকিও। এই ঘটনার পর জাপান সরকার কড়া ভাষায় চীনকে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী: ৭ জুন, শ্যানডং বিমানবাহী রণতরী থেকে একটি জে-১৫ চীনা যুদ্ধবিমান প্রায় ৪০ মিনিট ধরে একটি জাপানি পি-৩সি টহল বিমানকে ধাওয়া করে। ৮ জুন, আরও একটি জে-১৫, একই ধরনের জাপানি বিমানকে ৮০ মিনিট অনুসরণ করে এবং মাত্র ৯০০ মিটার দূরত্বে চলে আসে, একপর্যায়ে সেটিকে টপকে যায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই আচরণ ‘অস্বাভাবিক’ এবং এর ফলে বিমানের সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ে। তবে, কোনও জাপানি বিমান বা ক্রর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জাপান সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসি হায়াশি এক বিবৃতিতে বলেন, “চীনের সঙ্গে বহুস্তরীয় কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখছি, তবে আকাশসীমা ও জলসীমায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।”
জাপানি বিমান ও ক্রুদের কোনো ক্ষতি হয়নি, বিবৃতিতে বলেছে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাপান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র হায়াশি বলেন, নানান স্তরে বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার পাশাপাশি টোকিও নিজেদের ভূখণ্ডের আশপাশের আকাশসীমায় নজরদারিও অব্যাহত রাখবে।
প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথমবার একসঙ্গে দুটো চীনা বিমানবাহী রণতরী শ্যানডং ও লিয়াওনিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে দিনকয়েক আগেই জানিয়েছিল জাপান।
নিজেদের সীমান্তের বাইরেও যে অনেক কিছু করার সক্ষমতা বেইজিংয়ের আছে সেটা জানান দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই দুটো রণতরীকে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে বলেই মনে করছে টোকিও।
তবে বেইজিং বলছে, তাদের বিমানবাহী রণতরীগুলো ‘নিয়মিত প্রশিক্ষণ’ মহড়া পরিচালনা করেছে এবং এ মহড়া কোনো সুনির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে হয়নি।
২০১৪ সালে টোকিও বলেছিল তারা পূর্ব চীন সাগরের ওপরে তাদের সামরিক উড়োজাহাজের ৩০ মিটার কাছ দিয়ে চীনের সামরিক বিমানকে উড়ে যেতে দেখেছে। সেসময়ও তারা বেইজিংয়ের কাছে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিল।