যে কোনো দেশ ইসরাইলকে রক্ষার চেষ্টা করলে, তাদের আঞ্চলিক সামরিক ঘাঁটিও ইরানের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। শুক্রবার সিএনএনকে এক শীর্ষস্থানীয় ইরানি কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ইরান এই দখলদার শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, যে কোনো দেশ যদি ইসরাইলি শাসনকে ইরানের অভিযানের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করে, তবে তাদের আঞ্চলিক ঘাঁটি ও অবস্থানগুলো ইরানের পরবর্তী টার্গেটে পরিণত হবে।
এর আগে শুক্রবার মার্কিন ও ইসরাইলি সূত্রগুলো সিএনএনকে জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। একজন ইসরাইলি সূত্র আরও জানান, ওই অঞ্চলের আরও কিছু দেশও ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সহায়তা করেছে। এখানে উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বার বার ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।
তারা বলছে, তাদের সেনাদের বা স্থাপনার ওপর কোনো আঘাত এলে তা হবে ইরানের জন্য ভয়ঙ্কর। ওদিকে ইসরাইলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যেরই বেশ কয়েকটি দেশ আব্রাহাম অ্যাকর্ডের অধীনে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ক্ষমতার মেয়াদে। আঞ্চলিক যেসব দেশ ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সহায়তা করেছে তাদের সম্পর্কে পরিষ্কার করে বলেননি ইসরাইলি ওই সূত্র। তবে ধারণা করা যায়, তারা কারা হতে পারেন।