ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই পাল্টা জবাব দিল তেহরান। শুক্রবার দিবাগত রাতেই তেলআবিবের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর সদর দফতরে আঘাত হানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র।
ইসরায়েলের অন্যতম আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ বা ‘লৌহঢাল’ ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। হামলার ভিডিও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে বিস্ফোরণের তীব্র আলো ও বিকট শব্দ শোনা যায়। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা না গেলেও বিশ্ব গণমাধ্যম বলছে, এটি ইরানের বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিশোধমূলক অভিযানেরই অংশ।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর ইরান দেড় শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর বেশিরভাগই ছিল ব্যালিস্টিক মিসাইল, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল তেলআবিবের দক্ষিণাঞ্চলের কিরইয়া, রমাত গান ও রিশন লেজিয়ন। কিরইয়ায় অবস্থিত আইডিএফ-এর প্রধান দফতরেই সরাসরি আঘাত হানে একটি ক্ষেপণাস্ত্র।
এছাড়া রমাত গান ও রিশন লেজিয়নের বহু ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত তিনজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অনেকে।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র এফি ডিফ্রিন দাবি করেন, "যেসব ক্ষেপণাস্ত্র মাঝআকাশে ধ্বংস করা গেছে, সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ থেকেই মূল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।"
অন্যদিকে আইডিএফ-এর আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি ‘এক্স’-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, "মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার জন্য একমাত্র দায়ী ইরান। তাদের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি আজকের এই সংঘর্ষের মূল উৎস।"
উল্লেখ্য, ইরানের এই হামলার জবাবে ইসরায়েলও পাল্টা হামলা শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ইরানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৩০০ জনেরও বেশি। পরিস্থিতি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য।