রোববার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের ‘কাশিম বশির’ ইসরায়েলের মাথা ব্যথার কারণ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ জুন ২০২৫, ২২:৫৭
ইরানের ‘কাশিম বশির’ ইসরায়েলের মাথা ব্যথার কারণ
নতুন কাশিম বশিরে ব্যবহার করা হয়েছে দুই স্তরের ভারি মোটর যা দ্রুত উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিতে সক্ষম এবং বহন করতে পারে ৫০০ কেজির জ্বালানি। 

মাত্র এক মাসে আগেই তেহরান প্রকাশ্যে এনেছিল তার নতুন অস্ত্র। শুক্রবার গভীর রাতে সেই মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাশিম বশির’ ব্যবহার করেই তারা ইসরায়েলের তেল আবিবে সফল হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পাল্লার ভারী জ্বালানি-চালিত ‘কাশিম বশির’ ক্ষেপণাস্ত্র গত মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড অ্যারোস্পেস ফোর্স’-এর হাতে তুলে দিয়েছিলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে। বস্তুত, এটি ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হজ কাসিমের উন্নততর সংস্করণ। সেসময়ই আজিজ দাবি করছিলেন, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সমর্থ হবে কাসিম বশির।

1

কী এমন রয়েছে কাশিম বশিরে?

নতুন কাশিম বশিরে ব্যবহার করা হয়েছে দুই স্তরের ভারি মোটর যা দ্রুত উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিতে সক্ষম এবং বহন করতে পারে ৫০০ কেজির জ্বালানি।

এছাড়া এতে ব্যবহার করা হয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ইনফ্রারেড সিকার, যা জিপিএস ছাড়াই টার্মিনাল-ফেজ লক্ষ্য শনাক্ত করতে পারে।

এছাড়া কাশিমে ব্যবহার করা হয়েছে আগের চেয়েও উন্নত সয়ংক্রিয় নির্দেশিকা। যার মাধ্যমে এটি যুদ্ধক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

ক্ষেপণাস্ত্রের MaRV ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যেন তা প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বাধাদানের চেষ্টাকে কঠিন করে তুলতে পারে। ইরানের এই নতুন মিসাইল মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতির হিসাব নিকাশ বদলে দিতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে