মধ্যপ্রাচ্যে যখন উত্তেজনা টগবগ করছে, তখন সংযম ও স্থিতিশীলতার বার্তা নিয়ে কূটনৈতিক অগ্রভাগে উঠে এসেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
শুক্রবার ( ১৩ জুন) দিনভর তিনি বিশ্বের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন—সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাতে আরব নিউজ জানায়, চলমান ইসরায়েলি হামলা এবং ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার জটিল প্রেক্ষাপটে আলোচনায় এসেছে সংযম, শান্তি এবং কূটনৈতিক সমাধানের গুরুত্ব। ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনে যুবরাজ বলেন, “এই সংকট বিশ্ব অর্থনীতি ও নিরাপত্তা—দুই ক্ষেত্রেই অভিঘাত ফেলছে, তাই দ্রুত রাজনৈতিক সমাধান জরুরি।”
মাখোঁর সঙ্গে ফোনালাপে বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের অবস্থান এবং তা ঘিরে ইউরোপের করণীয়। দুই নেতা ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও দায়িত্বশীল কূটনৈতিক ভূমিকার’ ওপর জোর দেন।
এদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে সৌদি যুবরাজের আলোচনায় উঠে আসে—এই উত্তেজনা যদি বিস্তৃত হয়, তবে তা কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপকেও অস্থিতিশীল করতে পারে।
এই কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই ইরান শনিবার সকালে ইসরায়েলের দিকে পঞ্চম দফা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ডেড সি এবং পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। অঞ্চলজুড়ে বাজানো হয় সতর্কতা সাইরেন। ইরান বলছে, এটি ‘রক্ষামূলক জবাব’, কোনো ‘পুরো অভিযান নয়’।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য এমন এক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপই বিস্ফোরক সম্ভাবনা তৈরি করছে। সৌদি যুবরাজের কূটনৈতিক সক্রিয়তা এক অর্থে সেই আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার ইঙ্গিত।