মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার (১৪ জুন) রাতে এ তথ্য জানা গেছে।
এপি নিউজ এজেন্সি দুজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটির দিকে নিক্ষেপ করা তিনটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ওই ঘাঁটিতে মার্কিন সৈন্যরা অবস্থান করছে। এ হামলায় কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।
যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন বাহিনীর ওপর আক্রমণ করতে পারে। কারণ ইসরায়েল-ইরান সংঘাত তীব্রতর হচ্ছে এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে তেহরান।
সংঘাত শুরুর আগেই মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়েছিল ইরান। এ নিয়ে চাপা উত্তেজনার মধ্যে ড্রোন হামলার খবর এলো।
শনিবার ফার্স সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে, ইরান ইসরায়েলে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
ইরানের সামরিক নেতৃত্বের পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত একটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
এক সূত্র সংস্থাটিকে জানিয়েছে, ইহুদিবাদী [ইসরায়েলি] সরকারের আগ্রাসনের ফলে শুরু হওয়া যুদ্ধ এই সরকারের দখলকৃত সব অঞ্চল এবং এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে ছড়িয়ে পড়বে। আক্রমণকারীরা ইরানের কাছ থেকে একটি বড় আকারের প্রতিক্রিয়া পাবে।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনায় মধ্যপ্রাচ্যে সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটি সক্রিয় করা হয়েছে। ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে বড় ধরনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ পদেক্ষেপ।
শনিবার (১৪ জুন) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইরানে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা এবং তেহরানের পাল্টা আক্রমণের প্রেক্ষিতে সব ঘাঁটিকে সক্রিয় থাকতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
যেকোনো সময় হুমকি মোকাবিলায় বা শত্রুপক্ষে আঘাত হানতে ঘাঁটিগুলোকে সজাগ ও সক্ষম রাখা হয়েছে।
আমেরিকা কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করে আসছে।
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস অনুসারে, আমেরিকা এই অঞ্চলের কমপক্ষে ১৯টি স্থানে স্থায়ী এবং অস্থায়ী উভয় ধরণের সামরিক ঘাঁটির একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
এর মধ্যে আটটি স্থায়ী ঘাঁটি বাহরাইন, মিশর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত।