কৃষক পর্যায়ে আখের রোগমুক্ত পরিচ্ছন্ন বীজ উৎপাদন ও বিস্তার শীর্ষক মাঠ দিবস চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকল এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মাঠের বীজ আখ ক্ষেতগুলো পরিদর্শন করে উন্নত জাতের বীজআখ সর্ম্পকে আখচাষীদের বাস্তব ধারনা দেওয়া হয়। পরে মাঠ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদী, পাবনার বাস্তবায়নে কৃষক পর্যায়ে আখের রোগমুক্ত পরিচ্ছন্ন বীজ উৎপাদন ও বিস্তার প্রকল্পের অধীনে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.কবির উদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট চুয়াডাঙ্গা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ ওমর খৈয়ামের সভাপতিত্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান, জিএম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া,
ডিজিএম (কৃষি) মাহবুবুর রহমান, সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ইমাম হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মর্কতা ও প্রধান পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ ড. কে এম রেজাউল করিম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (রোগতত্ত্ব) ড. মো. আনিসুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ শেখ।মাঠ দিবসের আলোচনায় বক্তারা উন্নত জাতের রোগমুক্ত আখ বীজ উৎপাদন ও এর জাত ধরে রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ ক্ষেত্রে চাষিদের অগ্রনী ভুমিকা পালনের আহবান জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন, চিনিকলগুলোর সাথে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন জড়িত। সুতারাং চিনি শিল্পকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য আখ চাষ বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট চিনিকল জোনে উন্নত জাতের আখের বীজ সরবরাহ করছে। বীজের জাতের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। ভাল জাতের আখ চাষ করলে চিনি আহরনের হার বাড়বে। এতে চিনিকল লাভবান হবে, চাষীরাও ও লাভবান হবে।মাঠ দিবসের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন আখচাষী স্বপন বিশ^াস। এরপর বক্তব্য রাখেন আখচাষী শামিম হোসেন, তোফাজ্জল মিয়া ও মোমিনুল ইসলাম। মাঠ দিবসে কেরু চিনিকল এলাকার শতাধিক আখচাষি উপস্থিত ছিলেন।