ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে। কানাডায় অনুষ্ঠিত G7 শীর্ষ সম্মেলনের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাজ্য অতিরিক্ত ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান এবং রিফুয়েলিং এয়ারক্রাফট (জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান) মোতায়েন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, "এই পদক্ষেপটি একটি সতর্কতামূলক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যাতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।"
বর্তমানে রয়্যাল এয়ার ফোর্স (RAF) মধ্যপ্রাচ্যে “অপারেশন শেডার”-এর অধীনে আইএসআইএল (ISIS)-এর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে নিয়োজিত। এছাড়া ২০২৪ সালের এপ্রিলে ইরান থেকে ছোড়া ড্রোন প্রতিহত করতে RAF-এর টাইফুন যুদ্ধবিমানগুলো ইসরায়েলকে সহায়তা করেছিল, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নিশ্চিত করেন।
যুক্তরাজ্যের বিমান বাহিনী সাইপ্রাস, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি থেকে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া বাহরাইনে রয়েছে ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির প্রধান নৌ-অপারেশন কেন্দ্র।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাজ্যের এই সামরিক সক্রিয়তা শুধু জোটগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই নয়, বরং অঞ্চলীয় প্রভাব বজায় রাখার কৌশল হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।