যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করে সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো ইরানের হামলার ঝুঁকিতে পড়বে— এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা।
বুধবার প্রকাশিত দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ইতোমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, এসব পদক্ষেপ ইরানের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক আঘাতের ইঙ্গিত বহন করে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে তিন ডজনেরও বেশি জ্বালানিবাহী বিমান পাঠিয়েছে।
এসব বিমান প্রয়োজনে মার্কিন যুদ্ধবিমানকে আকাশে জ্বালানি সরবরাহ করবে অথবা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সম্ভাব্য হামলার সময় বোমারু বিমানের কার্যক্ষমতা বাড়াবে।
এতে মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও বিস্তৃত যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলি অভিযানে যোগ দেয় এবং ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ফোর্ডোতে হামলা চালায়, তাহলে ইরান-সমর্থিত হুতি মিলিশিয়া প্রায় নিশ্চিতভাবেই লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করবে। কর্মকর্তারা এসব জানিয়েছেন।
তারা আরও যোগ করেছেন যে, ইরাক এবং সিরিয়ার ইরানপন্থি মিলিশিয়ারা সম্ভবত সেখানে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ করার চেষ্টা করবে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০,০০০ এরও বেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে।