ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একাই কি দেশকে যুদ্ধে জড়াতে পারেন— এই প্রশ্ন এখন মার্কিন রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করার অধিকার কেবলমাত্র কংগ্রেসের— অর্থাৎ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেটের নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের রয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্ট হলেন কমান্ডার ইন চিফ বা সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ প্রধান।
যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়াও তিনিই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেনাবাহিনী মোতায়েন ও সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়ে।
২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ায় (ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট) বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালান।
সেই সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের কোনো অনুমোদন প্রয়োজন হয়নি। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা ও মানবিক কারণ দেখিয়ে এককভাবে সেই পদক্ষেপ নেন।
তবে ইরান-ইসরাইল সংকটে মার্কিন জড়িত থাকার আশঙ্কায় এখন কংগ্রেসের কিছু সদস্য প্রেসিডেন্টের একতরফা সিদ্ধান্তের ক্ষমতা কমাতে চাইছেন।
কেন্টাকির রিপাবলিকান প্রতিনিধি থমাস ম্যাসি মঙ্গলবার কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
তাতে বলা হয়েছে— কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
তিনি এক্সে লিখেছেন— এটা আমাদের যুদ্ধ নয়। আর হলেও, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসেরই নেওয়া উচিত।