ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাফি ডেফ্রিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত পাঁচ দিনে তারা ইরানের অভ্যন্তরে ১,১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই হামলা “ইরানের পারমাণবিক হুমকি নিষ্ক্রিয় করতে একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ”।
ডেফ্রিন আরও জানান, “ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বর্তমানে ইরানের আকাশে কার্যত মুক্তভাবে অভিযান চালাচ্ছে — এটি নজিরবিহীন একটি ঘটনা।”
প্রধান হামলার লক্ষ্য: নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ও আইআরজিসি (IRGC)-এর শীর্ষ কমান্ডারদের অবস্থান।
এই অভিযানে ইরানের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে রয়েছেন আইআরজিসি প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং এর এরোস্পেস বাহিনীর প্রধান আমির আলি হাজিজাদে।
ইরানের প্রতিক্রিয়া: ইরান এই হামলার পাল্টা জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে, যার মধ্যে রয়েছে তেল আবিব। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি এক বক্তব্যে বলেন, “লড়াই এখন শুরু হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। চীন ও মিসর উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার এবং কূটনৈতিক সমাধানে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে