বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানে বিজয়ের উল্লাস

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ জুন ২০২৫, ২০:১৫
আপডেট  : ২৪ জুন ২০২৫, ২০:১৮
ইরানে বিজয়ের উল্লাস
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত যুদ্ধবিরতির পর ইরানে বইছে বিজয়ের আনন্দ। রাজপথ থেকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন—সবখানেই ‘ঐতিহাসিক জয়’-এর আবহ।

ইরানের শীর্ষ নেতারা বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি প্রমাণ করে ইরান কেবল আঞ্চলিক নয়, এখন বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবেও নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ একে ‘পশ্চিমাদের শিং ভেঙে দেওয়া বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “পূর্ব থেকে পশ্চিম—আজ সবাই ইরানকে নতুন চোখে দেখছে।” ইরান সংসদের স্পিকার গালিবাফের উপদেষ্টা মেহদি মোহাম্মাদি একধাপ এগিয়ে এটিকে ‘নতুন যুগের সূচনা’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

এদিকে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারে বলেন, “পারমাণবিক কর্মসূচি এখন আর কেউ থামাতে পারবে না। আমাদের অবস্থান অটল, এটা কেউ নাড়াতে পারবে না।”

মঙ্গলবার ( ২৪ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এর আগেই ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করে, যাতে অন্তত চারজন নিহত হয়। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত হলেও, ইরান কৌশলগতভাবে এটিকে ‘বিজয়’ হিসেবে ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে তারা ঘরোয়া জনমতকে নিজেদের পক্ষে আনতে চাইছে এবং আঞ্চলিক প্রভাব আরও জোরদার করতে উদ্যোগ নিচ্ছে।

রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিজয় মিছিল ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে যুদ্ধবিরতি। অনেকেই বলছেন, এই ‘বিজয় উৎসব’ আসলে জাতীয়তাবাদী আবেগ ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ধরে রাখার একটি কৌশল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে