মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কম্পিউটার ব্যবসায়ী আলী আজম মানিকের ওপর এক সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আলী আজম মানিক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলী আজম মানিক ঘিওর বাসস্ট্যান্ডে “মানিক কম্পিউটার” নামক একটি দোকান পরিচালনা করেন।
অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়া প্রায়ই ওই দোকানে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে যেতেন এবং বিল পরিশোধ না করে চলে যেতেন। টাকা চাইলে নাসিম দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতেন এবং ব্যবসা না করতে দেওয়ার ভয় দেখাতেন।
এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পর দোকানে এসে আবারও জরুরি কাজ করানোর দাবি করেন নাসিম। দোকানদার মানিক তখন অন্য কাস্টমারের কাজে ব্যস্ত থাকায় কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলেন।
এরপর রাত ৯টার দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে নাসিম দোকানদার মানিকের দাড়ি ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মানিক গালাগাল থেকে বিরত থাকতে বললে অভিযুক্ত নাসিম তার ওপর এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন।
হামলার ফলে মানিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয় এবং দাড়িতে ব্যথা অনুভূত হয়। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও উপস্থিত কাস্টমাররা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
পরে আহত অবস্থায় তাকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হামলার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি দোকানে থাকা একটি কম্পিউটারের মনিটর ভেঙে ফেলেন, যার আনুমানিক মূল্য ১৫ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে আলী আজম মানিক বলেন, উনি আমাকে দিয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করিয়েছে যার পারিশ্রমিক দেয়নি।
উনার কাছে টাকা চাওয়াতে উনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং বাহিরে গিয়ে তিনজন লোকের সাথে পরামর্শ করে। তারপর পুনরায় দোকানে প্রবেশ করে আমার দাড়ি ধরে টান দেয় এবং মারধর করে । আমি সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছে ।
অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়ার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘিওর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান খান কুদরত বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি, তবে নাসিম ভূইয়া আমাদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তাকে কখনো কোনো মিটিং বা মিছিল করতে দেখিনি।”