ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলায় এক মহিলা শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজের (Padma Shri Awardee Kartik Maharaj) বিরুদ্ধে সহবাসে বাধ্য করা, জোর করে গর্ভপাত ঘটানো এবং প্রতারণার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও।
অভিযোগকারী শিক্ষিকার ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে নবগ্রাম থানার চাণক্য এলাকায় একটি আশ্রম পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যান কার্তিক মহারাজ। সেখানে তাঁকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং আশ্রমেই থাকার বন্দোবস্ত করা হয়।
তাঁর অভিযোগ, আশ্রমে থাকার সুযোগের আড়ালে মহারাজ একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। প্রথমে প্রত্যাখ্যান করলেও পরিস্থিতির চাপে পড়ে রাজি হতে হয় তাঁকে। একাধিকবার তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই শিক্ষিকা।
পরবর্তীতে অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন এই অবস্থা সহ্য করে এবার আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আইনি পদক্ষেপ ও তদন্ত শুরু
অভিযোগ অস্বীকার মহারাজের এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কার্তিক মহারাজ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কে কী বলেছে, সে বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার আইনজীবী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।” তিনি আরও জানান, অভিযোগ নিয়ে তিনি বিচলিত নন।
জনমত বিভক্ত, ভাবমূর্তির প্রশ্ন
প্রসঙ্গত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কার্তিক মহারাজ ২০২২ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদ্মশ্রী সম্মাননা লাভ করেন।
শেষ কথা নয়, তদন্তের দিকেই নজর
এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত চলমান এবং প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঘটনার প্রামাণ্যতা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো পক্ষের উপর অভিযোগ বা রায় টানা থেকে বিরত থাকাই গণমাধ্যম ও পাঠকের দায়িত্ব।