মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে প্রায় ১৭ একর সরকারি জমি জবরদখলে রেখেছেন জনৈক প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এরমধ্যে ৬৭ শতক জমিতে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
জানা যায়, উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের তুতবাড়ি এলাকায় এসএ দাগ নং- ৫২৮ এ ১৭ একর সরকারি জমি ধামুলী গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী মতছির আলী কনাই দীর্ঘদিন থেকে দখল করে রেখেছেন। সেই জমির মধ্যে ৬৭ শতক জমিতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ঘর বানিয়ে থাকছেন।
২০২৩ সালে তৎকালীন সহকারি কমিশনার (ভুমি) মেহেদী হাসান সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা প্রদান করেন। কিছুদিন কাজ স্থগিত রাখার পর মেহেদী হাসানের বদলী হলে মতছির আলী কনাই ফের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন।
কিন্তু দু’দফা নির্দেশনার পর গত ২০ জুন স্থানীয় লোকজন নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সেই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দখলকারী মতছির আলী কনাইর নেতৃত্বে স্থানীয় আরও কয়েকজন ভূমি দখলকারী অংশ নেয়। তারা প্রশাসনকে ফের উচ্ছেদ অভিযানে গেলে প্রতিরোধের হুমকি দেয়। ওই মানববন্ধনে একাত্বতা পোষন করে উপস্থিত হন কর্মধা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক হারিছ আলীসহ দলীয় কয়েকজন।
অভিযুক্ত মতছির আলী কনাই মোবাইল ফোনে জানান, জায়গাটি তিনি পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে ক্রয় সুত্রে মালিক।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া সহহকারি কমিশনার (ভুমি) শাহ জহুরুল আলম জানান, ওই এলাকায় শতাধিক একর সরকারী ভূমি জবর দখলে রয়েছে।
২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ২ এসিল্যান্ড ভূমি উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা মানববন্ধন করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তারা ভুমিহীন হলে আমরা তাদের উক্ত ভূমি লিজ দেব।
এটা কারো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নয়। যে কাগজে তিনি মালিকানা দাবি করছেন- সেটা অবৈধ। সরকারি সম্পদ উদ্ধারে ফের অভিযান চালানো হবে।