নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চরমধুপুর গ্রাম দুই যুগ ধরে মধুমতি নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত। একের পর এক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সহায়-সম্বল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে, জীবনের শেষ সম্বলটুকুও হারানোর শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনের কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। তবে আওয়ামী শাসনের অবসানের পর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী পুনর্গঠিত হয়ে নদীভাঙন রোধে উদ্যোগ নেয়। এতে করে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সায়েম রাশেদ চরমধুপুরে নদীভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি জানান, “আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জরিপ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এরপর সম্ভাব্য প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।”
জরিপ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন কালিয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান চৌধুরী, সদস্য মোল্লা রাসেল ও ১০নং পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহমুদুল ইসলাম। তারা বলেন, “ভাঙনকবলিত মানুষের পাশে থেকে আমরা টেকসই নদী তীর সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।”
চরমধুপুর গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৬৫) বলেন, “দুই যুগ ধরে কত ভাঙন দেখলাম, হিসাব নেই। এবার যদি কিছু না হয়, তাহলে হয়তো শেষ আশাটাও হারিয়ে যাবে।”
এদিকে নদীভাঙনকবলিত এলাকায় বিরাজ করছে উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ। স্থানীয়দের দাবী, অবিলম্বে স্থায়ী ও টেকসই নদী তীর রক্ষার কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।