বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ছেলে শিশুর খৎনা করানো হয় কেন?

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৬
ছেলে শিশুর খৎনা করানো হয় কেন?

ইসলামি সংস্কৃতিতে ছেলে শিশুদের খৎনা বা ত্বকচ্ছেদ দেওয়া হয়। আরবি ভাষায় খিত্না (ختنة) বা খিতান্‌ (ختان) নামে প্রচলিত।খৎনা ইসলামের সকল মাযহাব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অনুশাসন হিসাবে গৃহীত হয়েছে। ইসলামি সম্প্রদায়ের (উম্মাহ) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চিহ্ন হিসাবে খৎনা বিবেচিত হয়।

ছেলে শিশুর খৎনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত । মুসলিম সমাজে এটি মুসলমানি বলে পরিচিত। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সময়কাল থেকে এই সুন্নতের প্রচলন হয়। নবীদের মধ্যে তিনিই প্রথম সুন্নতে খৎনা করেন। এজন্য খৎনাকে সুন্নতে ইবরাহিমও বলা হয়।

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ৮০ বছর বয়সে খৎনা করেন বলে হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আশি বছরোর্দ্ধ বয়সে খৎনা করেন। (বুখারি, মুসলিম, আল আদাবুল মুফরাদাত, ১২৫৬)

ইবরাহিম আলাইহিস সালাম প্রথম বেশি বয়সে খৎনা করলেও বর্তমান সময়ে শৈশবেই শিশুদের খৎনা করানো হয়। বড়দের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ইরেকশনের কারণে রক্তপাত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনো নির্দিষ্ট বয়স না থাকলেও, বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতায় তিন বা চার বছর বয়স খৎনার উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- শিশুর শারীরিক উপযুক্ততা ও তার বালেগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে পৌঁছার আগেই বা এর মাঝামাঝি সময়ে যেমন, ৭-১০ বছর বা অনুর্ধ্ব ১২ বছরের মধ্যে করে নেওয়া উত্তম।

মুসলমানি করালে ফাইমোসিস হয় না; পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে শক্ত হয়ে গেলে ওই চামড়াকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নড়াচড়া করা যায় না। তখন লিঙ্গের মাথা ফুলে যায়, রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু মুসলমানি করালে এই জটিলতা থেকে রক্ষা মেলে; পেনাইল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা তৈরি করে খৎনা। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার জন্যও যেকোনো ধর্মের পুরুষরা খৎনা করিয়ে থাকেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে