মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাওয়ালের ৬ রোজার ফজিলত

যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৯

মুসলমানদের জন্য আমলের মৌসুম ছিলো রমজান মাস। আর রমজান মাসের পরেই শাওয়াল মাস টা হলো নফল রোজার জন্য বিশ্বেষ একটা মাস। শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত।

রমজান মাসের আমলগুলো যেন পুরো বছর অব্যাহত থাকে তার জন্য এ মাসের প্রধান শিক্ষা ছয়টি রোজা। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। কোরআনেও রোজা রাখার নির্দেশের পরই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কথা এসেছে।

আবু আইউব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজানে রোজা রাখবে এবং পরবর্তী সময়ে শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবে সে যেন পুরো বছর রোজা রাখল।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৪)

ছয় দিনের রোজায় পুরো বছরের সওয়াব : রমজান মাসে রোজা রাখার পর শাওয়াল মাসে আরো ছয়টি রোজা রাখলে পুরো বছর রোজার সওয়াব পাওয়া যায়।

সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ সব ভালো কাজের প্রতিদান ১০ গুণ করে দেন। তাই রমজান মাস ১০ মাসের সমতুল্য এবং পরবর্তী (শাওয়াল মাসের) ছয় রোজার মাধ্যমে এক বছর পূর্ণতা লাভ করে।’ (নাসায়ি : ২/১৬২)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার ফরজ নামাজের হিসাব করা হবে। তা ঠিক থাকলে সে সফলকাম। আর তাতে সমস্যা হলে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর কোনো ফরজ আমলে অপূর্ণতা দেখা দিলে মহান রব বলবেন, তোমরা দেখো, আমার বান্দার কি কোনো নফল নামাজ রয়েছে? নফল থাকলে তা দিয়ে ফরজকে পরিপূর্ণ করা হবে। এভাবে সব ফরজ আমলের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ করা হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৪১৩)

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে