টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার পলাশতলী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জামাল হোসেন ঠান্ডু হত্যা মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।একই মামলায় তথ্য প্রমাণ না থাকায় অভিযুক্ত তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক বেগম শাহানা হক সিদ্দিকা ওই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- সখীপুর উপজেলার ফুলবাগ গোবরচাকা গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে মিনহাজুর রহমান মিন্টু এবং একই গ্রামের সুর্যত আলীর ছেলে আব্দুল মালেক শুকুর। রায় ঘোষণার সময় মিনহাজুর রহমান মিন্টু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল মালেক শুকুর জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক রয়েছেন।
বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- গোবরচাকা গ্রামের শমশের আলী, মোহাম্মদ মাসুদ ও মোহাম্মদ নান্নু মিয়া।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন সিকদার জানান,২০১১ সালের ২০ অক্টোবর দুপুরে অধ্যক্ষ জামাল হোসেন ঠান্ডু সখীপুরের পলাশতলী মহাবিদ্যালয় থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।তিনি বৈলারপুর এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব শত্রুতার জেরে মিনহাজুর রহমান মিন্টু ও তার লোকজন জামাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে।এ ঘটনায় ওই দিন জামাল হোসেনের স্ত্রী পারভীন বেগম বাদী হয়ে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) এসআই আইয়ুব আলী পাঁচজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
যাযাদি/ এস