ফেনীর সোনাগাজীতে বড় ভাইকে পিটিয়ে জোরপূর্বক এক মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণেরর পর ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি বখাটে মো. এয়াছিন (২৫)। শুক্রবার বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলামের আদালতে এ জবানবন্দি দেন।

একই আদালতে ভুক্তভোগি ছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়। আদালতের নির্দেশে ভুক্তভোগিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা শেষে পিতার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি বাসা থেকে এয়াছিনকে গ্রেফতার ও অপহৃতাকে উদ্ধার করা হয়। এয়াছিন উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের নজির জমাদার বাড়ির ফয়েজ আহম্মদের ছেলে। পুলিশ জানায়, সে বখতারমুন্সি ফাজিল মাদরাসার ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ উত্ত্যক্ত করে আসছে। তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এয়াছিন ১০-১৫জন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নাজিরপুর গ্রামের কন্যার মা'র পুলের উপর অবস্থান নেন। পরীক্ষা শেষে ওই ছাত্রী ও তার ভাই সিএনজি অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। কন্যার মা'র পুলের উপর গেলে এয়াছিনের নেতৃত্বে তার বখাটে সহযোগিরা সিএনজি অটোরিকশার গতিরোধ করে ছাত্রীর ভাইকে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং তার সাথে থাকা মুঠোফোন, মাণি ব্যগ ছিনিয়ে নেন। এসময় পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে রাখা অপর একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে ফেনীর মহিপাল থেকে অন্য একটি গাড়ি যোগে তাকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে এয়াছিন তাকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার চার দিন পর তাকে গ্রেফতার ও ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় অপহৃতের পিতা বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩-৪জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এর আগে ঘটনার দিন রাতভর অভিযান চালিয়ে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ ও চালক ফেনী সদর উপজেলার আবদুল খালেককে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হাসান ইমাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো দুই নারী জঙ্গি গ্রেপ্তার

যাযাদি/ এস