কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে বৃহস্পতিবার সকালেই মানিকগঞ্জের আদালতে আনা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৮ টায় তাকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয় । রিমান্ড শুনানী হবে সাড়ে ১১ টায়।
এর আগে, চার দিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মমতাজ বেগমকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাগারে পাঠান ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
উল্লেখ্য যে,মমতাজ বেগম ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। এর পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর ও হরিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৫ সালে তিনি সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। তাঁর আত্মীয়স্বজন ও অনুসারীদের নিয়ে পরিবহনে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ–বাণিজ্য, পদ–বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সংসদ সদস্য হন। তবে ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হন তিনি।
তবে এখনো তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে আছেন। তার সৎ ছেলে সিঙ্গাইর পৌরসভার মেয়র, ভাগনে শহিদুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ ছাড়া আত্মীয়স্বজনেরা উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পদে আছেন।
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মমতাজ বেগম সংসদে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অরুচিকর বক্তব্য এবং সংসদ অধিবেশনে গান গেয়ে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হন।
কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের নামে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ও শিবালয় থানায় হত্যার অভিযোগ এবং হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা আরেকটি মামলার প্রধান আসামি তিনি।
এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে।